Thursday, January 25, 2024

রাজশাহী পবা সাব রেজিস্ট্রী অফিসে সরকারী নথি জাল করে জমি নিবন্ধন

 


রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠে ১৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ বিঘা জমি কেনাবেচায় বড় ধরণের জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই জমির ক্রেতা দ্য কংগ্রিগেশন অব আওয়ার লেডি অব দ্য মিশন-আরএনডিএম যা খ্রিস্টান মিশনারি হিসাবে পরিচিত। আলোচিত ১১ বিঘা জমির দলিল মূল্য করা হয়েছে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। অথচ এই জমি কেনাবেচায় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া সরকারি অনুমতিপত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আরও অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটি আইন ভঙ্গ করে গোপনে কৃষি শ্রেণি পরিবর্তন ছাড়াই ভিটা হিসাবে নিবন্ধন করেছে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। তবে ভয়াবহ এ জালিয়াতির ঘটনা ফাঁসের পর তোলপাড় চলছে প্রশাসনে ও নিবন্ধন অধিদপ্তরে। জালিয়াতচক্রকে শনাক্ত করতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে জেলা নিবন্ধক ঘটনা জানার পর দলিলটি জব্দ করেছেন এবং পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে সাব-রেজিস্ট্রারসহ একটি চক্র বিপুল টাকার বিনিময়ে সরকারি জাল নথিপত্র তৈরি করে এসব জমি নিবন্ধন করেছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলমগীর কবির, তার স্ত্রী নাজনীন ইসলাম, ছেলে তানভীর কবির ও আবুল খায়ের, বোন সুকমন বেগম ও আসমা বেগম এবং মা নুর নেহার বেগমের কাছ থেকে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউপির কুখণ্ডি মৌজার তিন দশমিক ৬৪৬৮ একর বা ১১ বিঘা জমি কিনেছে খ্রিস্টান মিশনারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্য কংগ্রিগেশন অব আওয়ার লেডি অব দ্য মিশন’। এর মধ্যে দুই দশমিক শূন্য ৯৬৮ একর জমি ধানি ও এক দশমিক ৫৫০০ একর জমি ভিটা দেখানো হয়েছে। পবা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত বছরের ১৯ মার্চ দলিল সম্পাদন করা হয়। দলিল নং ৩৫১৯। তৎকালীন পবার সাব-রেজিস্ট্রার আয়েশা সিদ্দিকার স্বাক্ষরে দলিল নিবন্ধন হয়েছে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে জেলা প্রশাসন ও রেজিস্ট্রি অফিসে তোলপাড় শুরু হয়। এ নিয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে। গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজশাহী জেলা প্রশাসককে জালিয়াতির ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরকারি নথি জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছেন পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার।

ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিজিত সরকার জানান, ঘটনাটি এখনো তদন্তাধীন। জমির ক্রেতা মিশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে তলব করা হয়েছে। এই জালিয়াতিতে কারা কারা জড়িত তা শনাক্তে কাজ চলছে। এ মাসেই তদন্তকাজ শেষ হবে। অভিজিত সরকার আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যা বোঝা গেছে তাতে জেলা প্রশাসক দপ্তরের অনুমতিপত্রটি জাল করা হয়েছে। জমি নিবন্ধনে ব্যবহৃত অনুমতিপত্রটি জাল বলে সংশ্লিষ্ট শাখা থেকেও জানানো হয়েছে। এখন দলিলটির ভবিষ্যৎ কী তা তদন্ত শেষে বলা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে খ্রিস্টান মিশন প্রতিনিধি ফাদার লিটন কস্টার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গত কয়েক দিন ধরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি নগরীর উপকণ্ঠ বাগানপাড়া এলাকায় অবস্থিত বিশপ চার্চে গিয়েও তার দেখা পাওয়া যায়নি। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি জমির দাতা আলমগীর কবিরও।

এদিকে সরকারি জাল নথি দিয়ে ১১ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার ঘটনা আলাদাভাবে তদন্ত করছে জেলা নিবন্ধন দপ্তর। পুরো বিষয়টি পৃথকভাবে তদন্ত করছেন বাগমারার সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ রানা। মাসুদ রানা জানিয়েছেন, তিনি ইতোমধ্যে দলিল লেখক আয়নাল হকসহ সংশ্লিষ্টদের লিখিত জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। তিনিও দ্রুত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। জাল সরকারি নথিপত্র দেখিয়ে জমিটি নিবন্ধনের ফলে দলিলটিও বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় দলিল লেখক সমিতির একজন শীর্ষ নেতা।

সুরা নিসায় উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকারের কথা রয়েছে


পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরার নাম সুরা নিসা। নিসা মানে স্ত্রীজাতি। এই সুরায় ২৪ রুকু, ১৭৬ আয়াত। তৃতীয় হিজরিতে ওহুদের যুদ্ধের পর এটি অবতীর্ণ হয়। এতে উত্তরাধিকার এবং এতিমের অধিকার বর্ণিত রয়েছে।


পঞ্চম হিজরিতে মুসতালিকের যুদ্ধে পানির অভাব দেখা দিলে তায়াম্মুমের আদেশ জারি হয়। এ সুরায় মুসলমানদের চরিত্রের কথা বর্ণিত হয়েছে। তবে এ সুরায় নারীদের বিধানের বর্ণনা বেশি বলে এর নাম হয়েছে সুরা নিসা।


রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করে আসার পর প্রাথমিক বছরগুলোতে সুরা নিসা নাজিল হয়। এর বেশির ভাগ অংশই নাজিল হয় বদরের যুদ্ধের পরে। মদিনায় একটি ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হওয়ার পর নবগঠিত রাষ্ট্রের যাবতীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করে। মুসলমানদের নিজেদের ইবাদত, আচরণ ও সমাজব্যবস্থা নিয়ে নানা বিধানের প্রয়োজন দেখা দেয়। ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য শত্রুপক্ষ তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করার চেষ্টা করছে। নিজেদের ভৌগোলিক ও ভাবগত সীমারেখা সংরক্ষণের জন্য মুসলমানরা সে সময় নিত্যনতুন সমস্যার মুখোমুখি। ঠিক এমন সময়ই সুরা নিসা নাজিল হয়।


নারী ও পরিবার হলো একটি রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্র একক, কিন্তু একটি সুসংগঠিত ও প্রধান বুনিয়াদ। সুরাটিতে এ প্রসঙ্গে বিধান দেওয়া হয়েছে। জাহিলিয়া যুগে নারীদের প্রতি যেসব অবিচার চলত, সেগুলোর মূলোৎপাটন করা হলো। এ ছাড়া এমন বহু বিধিবিধান দেওয়া হলো, যার কারণে সুরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।

সুরাটির সূচনায় তাকওয়া অর্জনের আহ্বান করা হয়েছে, আর পুরো সুরাব্যাপী তার ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


কিছু বিধান


প্রাপ্তবয়স্ক হলে এতিমদের অর্থসম্পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। তা আত্মসাৎ করা যাবে না। খারাপ মাল দিয়ে তাদের ভালো মাল নিজে নেওয়া যাবে না। এতিম ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সম্পদের ক্ষেত্রেই এ বিধান প্রযোজ‍্য।


নারীদের হক আদায় করা অবশ্যকর্তব্য (ফরজ)। ইসলামের আগে নারীদের ওয়ারিশ সম্পত্তি বা মিরাস দেওয়া হতো না। আরবদের মধ্যে প্রবাদ ছিল, যারা ঘোড়ায় সওয়ার হতে পারে না, তরবারি বহন করতে পারে না, দুশমনের মোকাবিলা করতে পারে না, তাদের সম্পত্তি দেওয়া হবে না। এ কারণে শিশু ও নারীদের মিরাস থেকে বঞ্চিত করা করত। ইসলাম নারীদের ওপর এই জুলুম পরিত্যাগ করে শিশু ও নারীদেরও সম্পত্তির হকদার বলে সাব্যস্ত করেছে।


নারীদের সঙ্গে সদাচরণ এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে তাদের অংশসংক্রান্ত আলোচনার পর ওই সব নারীর আলোচনা করা হয়েছে, আত্মীয়তা, বৈবাহিক বা দুধসম্পর্কের কারণে যাদের বিয়ে করা হারাম। (আয়াত: ২৩-২৪)


বিয়ে করার জন্য স্ত্রীকে মোহর প্রদান করা ফরজ। বিয়ের আগেই মোহর দিতে হবে। তবে স্ত্রীর সম্মতিক্রমে পরেও দেওয়া যেতে পারে। ইসলামে ওয়ারিশ পুরুষ ও নারী সবাই পাবে। বণ্টনকালে তারা উপস্থিত হলে বিরক্তি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর কারণ ইসলাম ভরণপোষণ, অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং বিয়ের মোহরানাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।

Friday, January 19, 2024

বন্টননামা দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ

 


সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, রাজশাহী।

বন্টননামা দলিলের রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ

** রেজিস্ট্রেশন ফিসঃ বন্টনকৃত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্য-

** অনূর্ধ্ব ৩ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ টাকা।

** অনূর্ধ্ব ১০ লক্ষ টাকা হলে ৭০০ টাকা।

** অনূর্ধ্ব ৩০ লক্ষ টাকা হলে ১২০০ টাকা।

** অনূর্ধ্ব ৫০ লক্ষ টাকা হলে ১৮০০ টাকা।

** ৫০ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে হলে ২০০০ টাকা।

** স্ট্যাম্প শুল্কঃ ১০০ টাকা।

বন্টননামা দলিলে যে কয়টি পক্ষ হবে তার মধ্যে আর্থিক হিসাবে বৃহত্তম এক পক্ষের অংশের মূল্য বাদ দিয়ে মোট মূল্য হিসাব করতে হবে।

** ই ফিঃ ১০০ টাকা।

** এন ফিঃ

** বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১৬ টাকা।

** ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।

** এনএন ফি (নকলনবিশগনের পারিশ্রমিক)

** বাংলায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ২৪ টাকা।

** ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ৩৬ টাকা।

** ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রিন্ট করে দলিলের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

** ফিস পরিশোধ পদ্ধতিঃ

দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য যাবতীয় ফিসাদি স্থানীয় সোনালী ব্যাংক এর ট্রেজারি শাখায় জমা প্রদান করতে হবে।

** রেজিস্ট্রেশন ফি + ই ফি + এন ফি একসাথে একটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে কোড নং ১-২১৬১-০০০০-১৮২৬ তে জমা প্রদান করতে হবে।

** এনএন ফি নগদে অফিসে জমা প্রদান করতে হবে।

বিঃ দ্রঃ

** ওয়ারিশী স্থাবর সম্পত্তি ব্যতিত অন্যভাবে অর্জিত স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বন্টননামা দলিলের ক্ষেত্রে উৎস কর প্রযোজ্য।

** রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩ বি, ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডীয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তাঁর জীবিত ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা দলিল সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন।

এস এ পর্চা/খতিয়ান কি ?


এস এ পর্চা হলো ১৯৫০ সনে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২৭ হতে ৩১ ধারা অনুযায়ী ১৯৫৬-১৯৬৩ সালে যে খতিয়ান বা পর্চা প্রস্তুত করা হয়ে ছিলো সেটা হচ্ছে এস এ পর্চা। আরেকটু সহজ করে বললে ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রনয়ন করার পরে যে পর্চা প্রস্তুত করা হয় সেটাকেই বলে এস এ পর্চা। কেউ কেউ এই পর্চাকে ৫৬ এর রেকর্ড বা ৫৬ পর্চা বলে। কোন কারনে যদি এই পর্চা হারিয়ে ফেলেন তবে কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ঘবে বসে এস.এ পর্চা সংগ্রহ করবেন আজ সেই বিষয়টি শেয়ার করবো।

"অর্পিত সম্পত্তি আইন"

 


অর্পিত সম্পত্তির ২০১২ সালের আগে যতো মামলা করা হয়েছে সব বাতিল। হাইকোটের নির্দেশ- ঔ সকল সম্পত্তি জেলা প্রশাসক লিজ দিতে পারবেন।

আইনের পটভূমি১৯৬৫ থেকে ৬৯ সাল পযন্ত তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানের যেসব হিন্দু নাগরিক ভারতে চলে গিয়েছিলেন তাদের যেসব সম্পত্তিকে 'শত্রু সম্পত্তি' ঘোষণা করে সরকার অধিগ্রহণ করেছিল। এরপর ১৯৭৪ সালে সেই সব সম্পত্তিকেই 'অর্পিত সম্পত্তি' ঘোষণা করা হয়।

"স্বাধীনতার পর অর্পিত সম্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছে, অনেক কোয়েশ্চেন আসছে, অনেক হিন্দুরা বলছে যে আমরা এদেশে আছি আমার সম্পত্তি কেন ভেস্টেড প্রপার্টি হবে?"

এমন অবস্থায় সরকার জনগণের সম্পত্তি ফেরত দেয়ার বিষয়ে সরকার ২০০১ সালে একটি আইন করে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন নামে।

এই আইনের উদ্দেশ্যে ছিলো জনগণের দাবি করা সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়া। এর অংশ হিসেবে সরকার দুটি গেজেট প্রকাশ করে। একটি ‘ক’ গেজেট, আরেকটি ‘খ’ গেজেট। ‘খ’ তালিকায় থাকার অর্থ হলো সরকার সেসব সম্পত্তি দাবিদারকে দিয়ে দেবে।

“খ’ তালিকায় থাকার অর্থ হলো এই প্রপার্টিতে সরকারের কোন দাবি নাই, শক্তি নাই, এবং সরকার দাবি করবে না এটা, এটা প্রত্যর্পন হয়ে গেলো মালিকের নামে,” বলেন মি. মোরশেদ।

আর যেসব সম্পত্তি সরকারের দখলে থাকবে সেগুলো ‘ক’ তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তবে কেউ যদি মনে করে যে ওই তালিকাভূক্ত সম্পত্তির মধ্যে তার সম্পত্তি আছে তাহলে সে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সেই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারবে।

সে তার মালিকানা প্রমাণ করতে পারলে ট্রাইব্যুনাল থেকে ডিক্রি জারির মাধ্যমে সেটি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

তবে এই প্রক্রিয়ার মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ কারো নামে ডিক্রি জারি হওয়ার আগ পর্যন্ত ওই অর্পিত সম্পত্তি সরকার জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে লিজ বা ইজারা দিতে পারবে।

এই বিষয়টি অর্পিত সম্পত্তি আইনের ১৪ ধারায় রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন না হওয়া পর্যন্ত সেই সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তিনি প্রচলিত আইন অনুযায়ী সেগুলো ইজারা দিতে পারবেন। তবে এই ইজারা দেয়া সম্পত্তির দখলের জন্য ট্রাইব্যুনালের ডিক্রি থাকলে যার নামে ডিক্রি থাকবে তার কাছেই সম্পত্তির দখল বুঝিয়ে দিতে হবে।

তবে কোন সম্পত্তি যদি সরকারের দখলে না থেকে কোন ব্যক্তির দখলে থাকে তাহলে সে মামলাটিও বাতিল হবে এবং এটি পরিচালনা করতে হলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে গিয়ে মামলা করতে হবে।

শুভ নববর্ষ ১৪৩১