Thursday, June 10, 2021

ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের নিয়ম

  


যেকোনো স্থান থেকে ব্যাংক হিসাব বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন। যদি কেউ এ পদ্ধতিতে কর পরিশোধ করতে সক্ষম না হয়, তবে যেকোনো কম্পিউটার দোকানে গিয়ে বা যেকোন তথ্য সেবা কেন্দ্রে গিয়ে এ সুবিধা নিতে পারবেন। পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে আদায় করা অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে স্থানান্তরিত হবে।

বিভিন্ন তথ্য মতে জানা গেছে, মহানগরীর মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আবাসিক জমির কর শতক প্রতি ২২টাকা, বাণিজ্যিক ১২৫ টাকা এবং জেলা সদরের আবাসিক জমির কর শতক প্রতি ৭ টাকা, বাণিজ্যিক ২২ টাকা এবং অন্যান্য সকল পৌর এলাকার আবাসিক জমির জন্য কর শতকপ্রতি ৬ টাকা বাণিজ্যিক হার ১৭ টাকা। পৌরসভা ঘোষিত হয়নি এরূপ এলাকার আবাসিক পাকা ভিটি হার ৫ টাকা, বাণিজ্যিক ১৫ টাকা। ১ একরের উর্ধ্বে কোনো জমিতে ফলের বাগান কিংবা ফুলের বাগান থাকলে জমির ক্ষেত্রে প্রতি শতাংশ জমির জন্য ১ টাকা ১০পয়সা।

পল্লী এলাকার বসবাসকারী কৃষি পরিবারের চাষের জমি এবং বসত বাড়ী কৃষি জমি হিসাবে গন্য করেকৃষি হারে ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য হবে। তবে পল্লী এলাকার পাকা ভিটির বাড়ীরজন্য শতক প্রতি ৫ টাকা হারে কর দিতে হবে। বাংলা সনের ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। ৩ বছর পর্যন্ত অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা যায়।

২৫বিঘা বা ৮.২৫ একরের কম জমির মালিকেরা ২ টাকার একটি মওকুফ দাখিলা পাবেন। একাধিক বছরের জন্য একটি মওকুফ দাখিলাই যথেষ্ঠ। তবে- এটাকে ভূমি উন্নয়ন কর হিসাবে বিবেচনা করা যাবেনা; বিবিধ আদায় হিসাবে গণ্য হবে। এজন্য প্রতিবছর ২ টাকার মওকুফ দাখিলা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।

কোনো কৃষি জমির মালিকের ২৫ বিঘার বেশী কৃষি জমির মালিক হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট জমির বিবরণ দাখিল করতে বাধ্য থাকেন। কোন ব্যক্তি ২৫ বিঘার বেশী কৃষিজমির মালিক হলে এবং উক্ত জমির বিবরনী দাখিল না করলে কিংবা ইচ্ছাকৃত ভাবে জমির তথ্য গোপন করলে সে দন্ডনীয় অপরাধে অপরাধী হবেন।

জমি বিক্রয়, দান ওয়াকফ ইত্যাদির ফলে অথবা কোনো ভাবেজমি হস্তান্তরের ফলে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার নীচে নেমে গেলে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫১ ধারার (আই) উপধারা মতে জমির মালিক অথবা তার উত্তরাধিকারীগণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট ২৫ বিঘা জমিরবিবরণী কমিয়ে আনার জন্য তথা বিবরনী ভাংগার জন্য আবেদন করবেন। ১ লা কার্তিকের পূর্বে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদন পাবার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রয়োজনীয় তদন্ত এবং শুনানীর ব্যবস্থা করে যথাযথ মনে করলে বিবরণী সংশোধন বা ভাংগার বা বিবরণী কমিয়ে আনার আদেশ দিবেন। আবেদনটি যদি মন্জুর হলে উক্ত আদেশটি ১লা কার্তিক হতে কার্যকর হয়।

এজন্য পূর্বের বছর গুলোর করের সঙ্গে প্রথম ৬ মাসের কর পরিশোধ করতে হবে। আর কার্তিক মাসের পর আবেদন করলে চলমান পুরো বছরের কর পরিশোধ করতে হবে। তবে জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার নীচে নেমে গেলেও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানো পর্যন্ত জমির মালিককে ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পূর্বের বিবরণী মোতাবেকই দিতে হবে।

No comments:

Post a Comment

শুভ নববর্ষ ১৪৩১